মিজানুর রহমান টনি : চার মাসের মধ্যে কত কি না বদলে যায়! জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকা কাউকে বাইরে চলে যেতে হয়। আবার নতুন কেউ এসেও বেশিদিন থাকতে পারেন না। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটল। ওয়ান ডে ও টি২০ ক্রিকেটে অধিনায়কের দায়িত্বে আবার নিয়ে আসা হল প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজমকে। টি২০ ফরম্যাটে অধিনায়ক হয়ে একটি সিরিজ খেলা শাহিন আফ্রিদিকে সরিয়ে দেওয়া হল।
তবে টেস্ট ক্রিকেটে কোনও বদল এখনও পর্যন্ত হয়নি। শান মাসুদকে অধিনায়কের চেয়ারে আপাতত রাখা হয়েছে। পাকিস্তানের শেষ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বাবরের জায়গায় জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেন শান মাসুদ। সেই সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওযাশ করে অস্ট্রেলিয়া জেতে। এমন হতাশ পারফরম্যান্সের পরও তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হয়নি। কিন্ত্ত টি২০ ক্রিকেট সিরিজে ১-৪ ম্যাচে পাকিস্তান হারের পর শাহিন শাহ আফ্রিদিকে সরানো হল। এর পিছনে অন্য কারনও সম্ভবত কাজ করেছে। পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগে লাহোর কোয়ল্যান্ডার্সের হয়ে খেলেছিলেন আফ্রিদি। টুর্নামেন্টে নিজে কিছু করতে পারেননি। তাঁর দলও হতাশ পারফরম্যান্স করে। শাহিনের সরে যাওয়ার ব্যাপারে এটা কাজ করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
সাদা বল-এর ক্রিকেটে বাবর আজমের অধিনায়কের চেয়ার ফিরে পাওয়ার পিছনে জাতীয় দলের নির্বাচকদের সম্মতিও কাজ করেছে। চার নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ, আসাদ শফিক, আবদুর রাজ্জাক ও মহম্মদ ইউসুফের হাত আছে বলে বাবার আবার পুরনো চেয়ার ফিরে পেয়েছেন। তাঁরা সবাই বাবরকে অধিনায়কের চেয়ারে ফিরিয়ে আনার জন্য চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিকে অনুরোধ করেন। তাঁদের কথা মেনে নিয়ে বাবরের হাতে অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। বাবরকে নিজের অফিসে ডেকে মহসিন এই খবর জানিয়ে দেন। তাই টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে বাবর আজমকে। চার মাস ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে কলকাতায় খেলতে এসে বাবর জানিয়েছিলেন, আমার ভাগ্যে থাকলে আমি পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়কের পদে থাকব। আমাকে কেউ সরাতে পারবে না। আর না থাকলে যে কোনওদিন সরে যেতে পারি। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হতাশ পারফরম্যান্সের পর বাবরকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত্ত চার মাস পর আবার সেই একই দায়িত্বে তিনি ফিরে এলেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.